চলন্ত ট্রেনে উঠতি এক মডেলকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র কুমার মিশ্র ভারতের এসএসবিতে কর্মরত। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে ওই মডেল বলেন—‘আমাদের কোচে ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী পুরো একটি ব্যাটেলিয়ান ছিল।
আমি সিটে শুয়েছিলাম। ঠিক পৌঁনে বারোটা নাগাদ গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। তখন পেছন থেকে এক ব্যক্তি খালি গায়ে (খুব সম্ভবত মদ্যপ অবস্থায়) আমাকে জড়িয়ে ধরে। চিৎকার করলেও আমাকে ছাড়েনি। আবারো চিৎকার করার পর আমাকে ছেড়ে দেয়। এরপরই টিটি ডেকে আনি।
তখন ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ছিল। ট্রেনে উঠার পর থেকেই এসি কোচে শুধু অন্তর্বাস পরে ঘুরছিলেন ধীরেন্দ্র কুমার। অশালীন আচরণও করছিলেন। কোনো এক যাত্রী অভিযোগ করার পর হাফ প্যান্ট জাতীয় কিছু একটা পরেছিলেন।
এ মডেলের বক্তব্য—‘ঘুমের মধ্যে টের পেয়েছিলাম কোনো একটা ঝামেলা চলছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তখন অত মাথা ঘামাইনি। ওই মডেলের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে। তা জানিয়ে তিনি বলেন—‘গত ২৭ জুন রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া-কালকা মেলে উঠেছিলাম। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে দুর্গাপুরে পৌঁছাই।
দুর্গাপুর নামার ঠিক ১০ মিনিট আগে গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। দুর্গাপুরেই আমার বাড়ি। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। আমার খাবারের ব্যবসাও রয়েছে। তাই দুর্গাপুর কলকাতা যাতায়াত করতে হয়। এর আগেও বহুবার ট্রাভেল করেছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির শিকার হইনি।
এ ঘটনায় প্রথমে জিআরপিএফের তত্ত্বাবধানে মামলা হয়েছে। এরপর আন্ডাল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই মডেল। গতকাল কোর্টে শুনানির ডেট ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে ২৯ জুন দুপুর ১টায় নির্ধারণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র কুমার এখন আসানসোল জেলে রয়েছে।
অভিযুক্তর উচ্চপদস্থরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তা জানিয়ে ওই মডেল বলেন—‘ধীরেন্দ্র কুমার মিশ্রর উচ্চপদস্থরা আমাকে ফোন করে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি মামলা তুলব না। ধীরেন্দ্র কুমারও আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু এখন এই মামলা থেকে পিছিয়ে যাব না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।